বিদুর ব্লগজিন|| প্রতাপ মুখোপাধ্যায়-এর গুচ্ছ কবিতা ||
প্রতাপ মুখোপাধ্যায়-এর গুচ্ছ কবিতা
ছায়া
যদি ছায়া হয়ে যাই, রামধনু সাদা হয়ে যাবে ? আকাশ
থেকে বৃষ্টি নয়, নিঃশব্দে ঝরে পড়বে বিষন্নতা ?
যদি ছায়া হয়ে যাই, রঙিন টবের সাদা ফুলে এসে বসবে মনমরা প্রজাপতি ?
অবয়বহীন জেগে থাকি, সূর্যদয়ের আগের তারাটি।
যদি ছায়া হয়ে যাই !
একতারা
একতারার মতো মৃদু এই জীবন,
অস্পষ্ট, নিরুচ্চার
। না বাজালেও কিছু নয়, তবুও বাজি। লুকিয়ে থাকি কনসার্টের এক কোণে ।
বৈরাগী আঁধারে এসে বাউলের আঙুল থেমে গেলে, আমার শিরদাঁড়ার তার একতারা হয়ে বেজে ওঠে, বেজে চলে
বৈরাগী আঁধার থেকে, ভৈরবী জ্যোৎস্নায় ।অক্ষর
অক্ষর
অক্ষর..অক্ষর.. ধান.. গম.. দলহন.. তৈলবীজ
সমস্ত যুবা স্বপ্নে যবের চারা হেসে যায়..
রাস্তা হেঁটে.. হেঁটে.. এসে দাঁড়ায় আমার আঙিনায়,
জগজিৎ সিং.. অভিলাষ তোমোর.. খুবলাল সাউ..
সফিকুল ইসলাম , বৃক্ষ হয়ে ছড়িয়ে দেয় ডাল.. পত্র.. পল্লব..
তুমি কি শুধু ছায়া নেবে জবান ভারত ?
যুবা স্বপ্নে দোল খায় স্তনবতী ধান !
এখনো জেগে আছেন বুড়ো রামধারী লাল !
আমি কেমন করে ঘুমাতে যাই ?
জ্যামিতি
শুধু নুন রাঁধো তুমি, আমি অমাবস্যা আঁকি, আঁকা এবং রাঁধা শেষ হলে দুটি চন্দ্রবিন্দু ছুটি নিয়ে ঈশ্বর ও ঈশ্বরী হয়ে যাবে ।
আমরা গোপন চুক্তির মতো ফিস ফিস শব্দে হেঁটে যাবো মীন রাশির দিকে । নদীর কিনারায় মাছেদের ক্ষুদ্র ঘর, ক্ষুদ্র গেরস্থালি ।
তুমি বিশ্ব তুমিই বিশ্বরূপা, মাকড়সা এবং জ্যামিতির আনন্দময় ধাঁধাটি পেরিয়ে এসো, গোবর নিকোনো উঠোনে আসন পেতেছি ।
সাইরেন
সাইরেন বেজে চলেছে ।
সকালের বুক চিরে...
দুপুরের বুক চিরে...
সন্ধ্যার বুক চিরে...
রাতের বুক চিরে...
বেজে
চলেছে সাইরেন ।
কোথাও কেউ নেই !
শোনার কেউ নেই!
বেজে চলেছে,
একা সাইরেন...
Comments
Post a Comment