বিদুর ব্লগজিন।। অভিষেক নন্দী-র কবিতা।


অভিষেক নন্দী-র কবিতা

 

পেসমেকার 

 

.

 

চাঁদের পৈতৃক ক্ষত নিয়ে ফুল তুলতে যাই?

মাধুর্য থেকে খসে পড়ে বাড়তি দশটা পক্ষীরাজ

স্রোত চিরে এসেই যখন পড়েছি

রূপকথা, আমাকে কি ‘কৃষ্ণ’ নামে ডাকবে?

 

তোমার অস্তিত্বে ফিরে যাওয়া হয়নি, না?

 

সারেগামাপা পেরিয়ে অসুখের নাম

ভালোবাসা হয়ে যায় এইভাবে

এখন মাধুর্য থেকে দুটো শরীর কম খসে পড়ে যদি,

বারংবার মারা গিয়েও ফিরে যাব ঘরে

ঠান্ডা ভাতে হাত রেখে

ভুলে যেতে হবে প্রিয় ঋতুর নাম, ধান্দাবাজের মতো

 

.

 

প্রকৃত অশ্বক্ষুরাকৃতি বোধ একটা টগবগহীন শব্দ

এই অসম্ভবতা আমাদের দিক ছুঁয়ে দেয় তার জ্যান্ত বেশ্যাবৃত্তি— 

ভিজে ওঠা সম্ভাষণ পায়রাদের তাড়া গেঁথে

ক্লান্ত ছায়ায় ‘চুম্বন’ ছদ্মবেশে পড়ে আছে পৃথিবীতে

 

চাকাই চাকায় থিতিয়ে আসছে

 

থিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে লাইনটানা খাতার আকুতি?

লেজ ও গাছের থেকে ভোগবাদ বেশি দূরে না থাকলে

আপেল খোসার ভেতর

নিউটনের মায়ের জন্ম দ্বিতীয়বার হবে

                                       আজ সন্ধেয়

 

.

 

এসো মদ হই

এসো শরীর নিয়ে কথা বলি

 

অস্ফুট রজনীগন্ধায় দোদুল্যমান দুটি পা থেকে

ছিটকে পালিয়ে যাওয়া প্রণামটিই আমাদের আলমারি

 

মাছের চোখ থেকে খুবলে তুলি দামি পাথর

 

এতসবের ভেতর নতুন করে জাপ্টে ধরব বলে,

বারংবার তোমায় ছেড়ে দিই প্রতিবার

যতবার মদ সেজে অপেক্ষায় থাকি, টের পাই—

এখনও ভাস্কর চক্রবর্তী দীর্ঘরাত জেগে

কবিতা লিখেছন পাগলদের জন্যে

 

 ৪.


ট্রেনলাইনের ধারে ছাপার অক্ষরে বসে আছি

অগ্নিবাণ সূর্য উঁচু ফ্ল্যাটে ধাক্কা খেতে খেতে

সারাটা গায়ে ফোস্কা রঙের আলপনা বুনছে

ওত পেতে কেন্নোর মতো মুড়িয়ে

লুকিয়ে রাখছি বাদামি হাড়ের ছায়া

 

আজ দু'জন ব্যর্থ প্রেমিক-প্রেমিকা 

কাটা পড়ুক ট্রেনের চাকায়,

গা থেকে খুলে নেব ওদের রঙিন পোশাক—

বছর-নয় পর জেল ফেরত

লোহার স্পর্শ ভুলে ইদের দিনে ছুটছি

ছেলেমেয়ে দুটোর কাছে;

খালি হাতে ফিরলে লজ্জায় মুখ রাখি কোথায়?


Comments