বিদুর ব্লগজিন।। সন্তোষ চক্রবর্তী-র কবিতা




 

ছিল এক দুরূহ সংকেত

লিপি প্রান্তরে একা একা দিন।

শোক থেকে শোকে মর্মর পাতাতে

শব্দহীন লিখি তাই লিপি পড়ে আছে!

বুক ফেটে যায়। চৌচির বোশেখের মাটি

হাওয়া এসে লাগে তাতে।গুঞ্জনে বাজে

বহু পুরোনো ব্যাবহৃত উদাসীন হাড়ের বাঁশিটি।

হাওয়া থামে। ক্ষীণ লয়ে বাজে হু হু শ্বাস

দুরূহ সংকেতে লিপি পড়ে থাকে একা

শ্মশানবন্ধু! চাঁড়ালের মন! স্বজন চিতা!

 

 


 

আমিও শিখে নিচ্ছি আত্মগোপন। বসন্ত সন্ধ্যে উদাসীনতার অর্থ

ঝরা পাতার দেশে আয়ুষ্কাল। চূর্ণ বিচূর্ণ বোধে ভালোলাগা যত গান।

প্রথা ভেঙে স্থির নই কিছুই যখন এ মুখ থেকে ওমুখে তো পরক্ষণে

একার সঙ্গে মেজাজে জাহির নিজেকে। প্রথা তো আমিও ভাঙি

এই ঋতু নতুন ফুলে আর আয়ু থেকে আয়ুর মাঝে উজাড় নিজেকেই অলীক নিঃসঙ্গতায় প্রথমতো!

এভাবে আত্মগোপন হয়? হাহাকারে তুমুল এক বোধে তোমাকেই

সম্মুখে আনি সঙ্গত! জল হাওয়া জুড়ে ফুলের সুবাস। সন্ধ্যের গুঞ্জন

ভয় হয়! যদি চলে যায় কার কাছে রেখে যাবো এমন অলীক জীবন!

 

 

 

মদ ও মাংস তত প্রিয় নয়। যতটুকু কাছাকাছি এসে

ছিলে কি ছিলে না অস্ফুট ফুলের মতো!

এই ঋতু এলে ফুটে ওঠো! পাতা আমি মর্মর! ঝরে যাই!

আর বিবিধ বাংলা ভাষায় ভাগ্যহীন অবাধ স্বাধীনতায় ওষ্ঠ ছুঁয় কখনও বা চরণ কোমল!

ভাসান সাঙ্গ হলো! কেননা কোন সাংঘাতিক বাজনা

স্মৃতি থেকে দূরে নতুন খেলায় মাতালো অবশেষে!

 

Comments